বর্ধমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি : বাংলার মানুষ একতরফা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে

9th April 2021 11:12 pm বর্ধমান
বর্ধমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি : বাংলার মানুষ একতরফা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :   ’বাংলার মানুষ নির্বাচনের প্রথম দফা থেকেই   ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থনে একতরফা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তাঁরা  মমতার সরকারকে বিদায় জানাতে চান ’। শুক্রবার বর্ধমানে রোড শোয়ে যোগ দিয়ে দলের প্রার্থীদের জয় নিয়ে এই মতপ্রকাশ করলেন  বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।  বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ  বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীদের সনর্থনে এদিন  বিজয়রাম থেকে বাজেপ্রতাপপুর পর্যন্ত রোড শো হয় । তাতে  বিজেপি কর্মী ও  সমর্থকদের ঢল নামায় উচ্ছশিত স্বয়ং জে পি নাড্ডা সহ বর্ধমানের বিজেপি শিবির । 


বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা 
এদিন আরও বলেন , রোড শোয়ে জনসমাগম 
দখে পরিস্কার বোঝাযাচ্ছে বর্ধমান উত্তর ও দক্ষিণ দুই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী  রাধাকান্ত রায় ও সন্দীপ নন্দী ভোটারদের আশীর্বাদ পাবেন । নাড্ডা জী দাবি করেন ,এই নির্বাচন কেবল  মাত্র বিধায়ক নির্বাচনের জন্য নয়।  এই নির্বাচন  বাংলার ভারমূর্তি আর ভাগ্য আগামী দিনে বদলানোর নির্বাচন ।প্রচারে যেভাবে মানুষের সাড়া মিলছে,যেভাবে মানুষ ছুটে আসছেন তা থেকে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে তারা তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ,কয়লাচুরি, বালিচুরি, তোষণ  আর চালচুরির যোগ্য  জবাবা  দেবেন।নাড্ডা জী এও বলেন ,বাংলায় এতদিন অপরাধীর রাজনীতিকরণ আর রাজনীতির অপরাধীকরণ হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে। তাই তারা পিসি আর ভাইপোর সরকারের  বিদায় চাইছে ।সেই জন্য  মানুষ তাদের বিরুদ্ধে  রাস্তায় নেমেছেন।মমতাজী নিজেকে বাংলার মেয়ে দিদি বলেন। গত দশ বছরে বাংলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ,অ্যাসিড হামলা হয়েছে।বাংলায় বিকাশের জন্য আর মহিলা ও যুবদের ভবিষ্যৎতের জন্য পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে তৃণমূল  সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।